বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম বিস্তারিত জানুন


 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিয়ে পোস্টটি পড়ুন। বাংলা আর্টিকেল রাইটিং টিপস এর এই আর্টিকেল  থেকে আপনি শিখতে পারবেন। বাংলা আর্টিকেল লেখার বিষয় নির্বাচন করে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা দিন এবং মূল বক্তব্য সহজ ভাষায় উপস্থাপন করুন।
 

আকর্ষণীয় শিরোনাম ও উপশিরনাম ব্যবহার করে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখুন তথ্যবহুল ও প্রাসঙ্গনি উপস্থাপনার পাশাপাশি বানান ও ব্যাকরণ যাচাই করুন। এই বিষয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
পেইজ সুচিপত্রঃ

  ভূমিকা

আর্টিকেল লেখার সঠিক নিয়ম হল কোন আর্টিকেলের বা পোস্টের শুরুতে ৪ বা ৫ লাইনের একটি ভূমিকা লিখবেন যাতে পাঠক পোষ্টের শুরুর প্র‌্যারাগ্রাফ বা ভূমিকা বুঝতে পারে। পুরো পোস্টে সে কি কি পেতে যাচ্ছে অনেক পাঠকই শুধুমাত্র ভূমিকা পড়ার পর আর পোস্ট পড়ে না যদি ভূমিকাতে ক্লিয়ার ইনফরমেশন না থাকে যে পুরো পোস্টে কি কি আছে।

বাংলা আর্টিকেলের জন্য ফিচার ইমেজ তৈরি 

প্রত্যেকটি আর্টিকেলের বা পোস্টের ভিতরে ন্যূনতম একটি প্রাসংগিক ফিচার ইমেজ রাখতে হবে। একটি পিকচার কোন পোস্টকে অনেক অর্থবোধক করে তুলে। পাঠকরা শুধু লাইনের পর লাইন পড়তে চাই না। প্রাসঙ্গিক পিকচার দেখতে চাই তাই পোস্টে পিকচার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টাইটেল ও ফিচার ইমেজ এর টেক্সটে যেন ভিন্নতা থাকে।

বাংলা আর্টিকেলের বিষয় নির্বাচন

আর্টিকেল লেখার প্রথম ধাপ হলো একটি নির্দিষ্ট বিষয় বাছাই করা। একটি সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে লেখার সময় আপনার লেখার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য পরিষ্কার হওয়া জরুরী বিষয় বাছাই করার সময় যেসব বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।

পাঠকের আগ্রহ বিবেচনা করা : আর্টিকেল লিখতে হলে প্রথমেই জানতে হবে আপনার পাঠক কারা এবং তারা কি ধরনের বিষয় পড়তে আগ্রহী পাঠকের প্রয়োজন এবং আগ্রহের উপর ভিত্তি করে বিষয় বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ স্বরূপে যদি আপনার পাঠক শিক্ষার্থীরা হয় তবে আপনি তাদের শিক্ষামূলক আর্টিকেল প্রদান করতে পারেন। 

বিষয় সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকা : যে বিষয়ে আপনি লেখবেন সে বিযয় সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। যদি সে বিষয় সম্পর্কে আপনার জ্ঞান না থাকে তাহলে লেখার আগে গবেষণা করা জরুরী এটি আপনার লেখাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে। 

লেখার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা : প্রত্যেক লেখার একটি উদ্দেশ্য থাকে আর্টিকেলটি কি শুধুমাত্র তথ্য দেয়ার জন্য নাকি পাঠককে কোন বিষয়ে উদ্বদ্ধ করার জন্য। আপনার লেখার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হওয়া দরকার যাতে আপনি সেই অনুযায়ী আপনার লেখা সাজাতে পারেন ।

( আরো পড়ুন ) কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারীতা

বাংলা আর্টিকেলের তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা 

যেকোনো আর্টিকেল লেখার আগে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনি যেটা লিখেন না কেন তার ভিত্তিতে তথ্য থাকতে হবে তথ্য সমৃদ্ধ লেখা পাঠককে বিশ্বাসযোগ্য মনে করাবে। মনে হয় এবং এটি লেখার মান বাড়িয়ে তোলে গবেষণা করার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে 


প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ : প্রথমে আপনার নিজের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করুন। আপনি যদি কোন বিশেষ ক্ষেত্রে বা বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞ হন তাহলে সে তথ্য আপনার লেখায় অন্তর্ভুক্ত করুন এটি আপনার লেখাকে সক্রিয় ভাবে এবং মৌলিক করে তুলবে ।

মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহ : ইন্টারনেট,বই,ম্যাগাজিন, জার্নাল এবং নিবন্ধন থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এর মাধ্যম গুলোর মাধ্যমে আপনি সঠিক নির্ভুল তথ্য পেতে পারেন। তবে ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করার সময় বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করার জরুরী ভুল বা মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করা লেখার মান ক্ষুন্ন করে এবং পাঠকের আস্থা হারাই। 


 

বিষয়ের উপর নির্ভর করে বিশেষজ্ঞের মতামত : কিছু বিষয় এমন থাকে যেগুলোর জন্য বিশেষজ্ঞের মতামত জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেমন স্বাস্থ্য বিষয়ক বা প্রযুক্তির সংক্রান্ত কোনো বিষয় হলে সংশ্লিষ্ট থেকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য বা তাদের গবেষণার উপর ভিত্তি করে লেখা উচিত এটি আপনার লেখার গভীরতা বাড়ায় এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। 

বাংলা আর্টিকেলের কাঠামো নির্ধারণ

একটি ভালো আর্টিকেলের জন্য সঠিক কাঠামো প্রয়োজন যেকোন রচনার মতো বাংলা আর্টিকেলও একটি সূচনা মধ্যভাগ এবং উপসংহার থাকা উচিত সঠিকভাবে আর্টিকেল গঠন করলে তা পড়তে সহজ হয় এবং পাঠক পুরো লেখাটি শেষ করতে আগ্রহী হয় আর্টিকেলের কাঠামো নিম্নরপ হতে পারে। 

বাংলা আর্টিকেলের বডি নিয়মাবলি

আর্টিকেলের শুরুতে একটি আকর্ষণীয় ভূমিকা থাকা জরুরী যা পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে ভূমিকা কোন অংশে বিষয়টির প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ এবং লেখার উদ্দেশ্যে উল্লেখ করতে হবে। একটি সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত। ভূমিকা লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পাঠক শুরু থেকেই লেখার সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং তারা পুরো লেখাটি পড়তে আগ্রহী হয়। 

আর্টিকেলের বডি : এই অংশে আপনার মূল বক্তব্য ও তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। মূল অংশটি সাধারণত কয়েকটি অনুচ্ছেদে বিভক্ত করা হয়। যেখানে প্রতিটি অনুচ্ছেদ নির্দিষ্ট একটি পয়েন্টের উপর বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় প্রতিটি পয়েন্ট সমর্থন করার জন্য যুক্তিসম্মত তথ্য এবং উদাহরণ ব্যবহার করা প্রয়োজন। 

উপসংহার : আর্টিকেলে আর্টিকেলের শেষে একটি উপসংহার থাকতে হবে যা পুরো লেখার সারাংশ তুলে ধরবে উপসংহারের মূল বক্তব্য গুলো পূর্ণব্যত্ত্ব করা যেতে পারে। এবং ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা বা লেখার নিজস্ব মতামত দেওয়া যেতে পারে, এটি সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত এবং একটি সমাপ্তি টানবে।

 

বাংলা আর্টিকেলের ভাষার ব্যবহার ও বানান 

বাংলা আর্টিকেল লেখার সময় ভাষার শৈলী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুদ্ধ ভাষায় লেখা আর্টিকেল পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম হয় ভাষার শৈলী ও ব্যবহার নিয়ে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। যতটা সম্ভব সহজ ভাষা ব্যবহার করা উচিত যাতে পাঠক সহজে লেখার অর্থ বুঝতে পারে অত্যধিক জটিল এবং দুর্বল শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে সাধারণত সহজ ও সরল বাক্য গঠন পাঠকের জন্য সুবিধা জনক হয়। 

বানান ও ব্যাকরণ সঠিক রাখা: বানান ও ব্যাকরণ সঠিক রাখা একটি আর্টিকেলের মান বজায় রাখার অন্যতম প্রধান দিক লেখার সময় ভুল বানান বা ভুল ব্যবহার করলে তা লেখার গুণমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং পাঠকের মনোযোগ হারায় লেখার আগে বা পরে একাধিকবার বানান ও ব্যাকরণ যাচাই করা উচিত বর্তমানে অনলাইন বানান যাচাই করুন সরঞ্জাম পাওয়া যায় যা ব্যবহার করা যেতে পারে।

ভুল সংশোধন : আর্টিকেল লেখা শেষ হওয়ার পর একাধিকবার পরে কোন ভুল ত্রুটি আছে কিনা তা সংশোধন করা প্রয়োজন। বিশেষত বানান ব্যাকরণ ও বাক্য গঠনের ভুলগুলো যাচাই করা জরুরী অনেক সময় লেখার সময় যে ভুলগুলো ধরা পড়ে না সেগুলো পরবর্তীতে পুনরায় পড়লে চোখে পড়ে এজন্য আর্টিকেল লেখা শেষে ভুল ত্রুটি সংশোধন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

পাঠকের সাথে সংযোগ তৈরি করা

আর্টিকেল লেখার সময় পাঠকের সাথে সংযোগ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পাঠকের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখার বিষয়টি তুলে ধরা উচিত যাতে তারা লেখার সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। লেখায় ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে পাঠকের প্রয়োজনের দিক খেয়াল রাখা জরুরী পাঠকের সমস্যার সমাধান বা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলে তার লেখাটিকে আরো গুরুত্ব দিয়ে পড়বে। 

  বাংলা আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করা

একজন দক্ষ আর্টিকেল লেখক হতে গেলে নিয়মিত লেখার চর্চা করতে হবে লেখার সময় বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে যেমন নতুন ধরনের শৈলী ভিন্ন কাঠামো বা ভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা নিয়মিত চর্চা আপনাকে আরো দক্ষ সৃষ্টিশীল লেখক হতে সাহায্য করবে। এবং ধীরে ধীরে আপনার লেখার মান বৃদ্ধি পাবে। 


 

উপসংহার


বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে চললে এবং ধীরে ধীরে এই দক্ষতা গুলো আয়ত্ত করা গেলে একজন সফল আর্টিকেল লেখক হওয়া সম্ভব বিষয় নির্বাচন থেকে শুরু করে ভাষার শৈলী গবেষণা উপস্থাপনা ও অনুরোধ প্রতিটি ধাপের গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য রেখে যদি নিয়মিত লেখার অভ্যাস করা যায় তাহলে লেখার মান উন্নত হয় এবং পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখা সম্ভব হয় সঠিক পদ্ধতিতে এবং ধৈর্য নিয়ে বলে বাংলা ভাষায় তার জন্য ঘর ও তথ্য সমৃদ্ধ আর্টিকেল লেখা একটি সহজ এবং আনন্দদায়ক কাজ হয়ে।
 
 আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এবং আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধুদের সাথে আমার ওয়েবসাইট সম্পর্ক করবেন নিয়মিত ভিজিট করবেন আপনার প্রতিটা মুহূর্ত সুন্দর হোক দেখা হবে পরবর্তী কোনো আটি পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
( আল্লাহ হাফেজ )

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url