বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম

বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি কাজ যেখানে একজন ব্যক্তি স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করে থাকে কোন স্থায়ী সরকারি বা বেসরকারি চাকরির বন্ধনে  না থেকে কাজ করা। আবার সরকারি বা বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি পার্ট টাইম সিাবে কাজ করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান যুগে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বেশি।
 
ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি এসেছে ফ্রিলান্সার থেকে যার অর্থ হলো (মুক্ত পেশা) একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোন নিয়োগকর্তার অধীনে না থেকে নিজের ইচ্ছা মত কাজ বেঁচে নিতে পারে। এটি পার্ট টাইম বা ফুল টাইপ যে কোন ধরনের হতে পারে। কাজের জন্য সাধারণত অনলাইন প্লাটফর্ম যেমন ফাইবার,ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। 
 
পেজসূচিপত্রঃ বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম .

ভূমিকা

বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল হওয়ার কারণে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ উভয়ের জন্যই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিচ্ছে। বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম ফ্রিলান্সিং কোন মার্কেটপ্লেসে কোন ধরনের কাজ পাওয়া যায়।ফ্রিলান্সিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতেএই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ফ্রিলান্সিং কি

ফ্রিল্যান্সিং এর মূল সুবিধা হলো নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করা একজন ফ্রিল্যান্সার নিজের সময় কাজের ধরন পছন্দ করতে পারেন। বিশেষ করে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, এবং ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি বড় প্ল্যাটফর্ম।  এছাড়াও এটি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী লাভজনক কারণ একাধিক ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ নিয়ে বেশি ইনকাম করা সম্ভব। 

তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিছু দিক নির্দেশনা রয়েছে যেমন কাজের অনিশ্চয়তা সময় ব্যবস্থাপনার সমস্যা এবং প্রতিযোগিতা ফ্রিল্যান্সারদের কাজের মান ধরে রাখা ও নির্ধারিত সময়ের কাজ জমা দেওয়ার জন্য দক্ষ হতে হয়। বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং একটি দ্রুত উন্নয়নশীল ক্ষেত্র দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি চাহিদা দিন দিন বাড়ছে ভালো ইন্টারনেট সংযোগ সঠিক প্রশিক্ষণ এবং কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই এটিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করছে। 
 
ফ্রিল্যান্সিং হল আধুনিক যুগের ডিজিটাল কর্মসংস্থানের এক চমৎকার মাধ্যম যা ব্যক্তির স্বাধীনতা ও নিজের মেধাকে গুরুত্ব দেই। যারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে আগ্রহী হয়ে কাজ করতে চান তাদের জন্য ফ্রিলান্সিং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে। 

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কেমন

বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে একটি উন্নত সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেব উঠে এসেছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই পেশার জনপ্রিয়তা বিস্তারিত হচ্ছে। বিশেষ করে যারা প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন এবং নিজে কাজে আগ্রহী তাদের জন্য ফ্রিলান্সিং একটি চমৎকার সুযোগ প্রদান করেছে। 
 
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ডিজিটাল মার্কেটিং কন্টেন্ট রাইটিং ভিডিও এডিটিং এর মত কাজগুলোতে নিয়োজিত থাকেন। এর পাশাপাশি ডাটা এন্ট্রি এবং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যন্ট এর মতো সহজতার কাজগুলোতেও বিপুলসংখ্যক তরুণ যুক্ত হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে ক্লয়েন্টরা বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের সেবা নেন। বিশেষ করে ইউ এস এ কানাডা অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ পাওয়া যায়। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন আপ ওয়ার্ক,ফাইবার,ফ্রিলান্সার ডটকম এবং টপ টাল বাংলাদেশে এই মার্কেটপ্লেস গুলো ফ্রিলান্সারদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। 
 
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা
  • সময় ও স্থানের স্বাধীনতা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় কাজ করলে নিজের ইচ্ছে মতো স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পাওয়া যায়। ভালো দক্ষতা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং থেকে  অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। বিশেষ করে ডলার আয় করার সুযোগ থাকায় এটি আকর্ষণীয়। 
  • ফ্রিল্যান্সিং অনলাইনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। যা ভবিষ্যতে কাজের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজ করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা উন্নত করার সুযোগ পান। 
  • আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে প্রচুর প্রতিযোগিতা রয়েছে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ক্লায়েন্ট পাওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। 
  • অনেক এলাকায় ইন্টারনেটের সমস্যার কারণে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বড় সমস্যা হয়।
  • বাংলাদেশের অনেক তরুন ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে সঠিকভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।
  • আন্তর্জাতিক পেমেন্ট প্রসেসিং অনেক সময় জটিল হয়ে যায়। তবে পেওনিয়ার পেপাল যদিও বাংলাদেশে সরাসরি সাপট করে না। তবে ব্যাংকের মাধ্যমে ট্রান্সফারকরার জন্য সহজ হয়েছে।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ 
বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সিং এবং আইটি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নানান উদ্যোগ নিচ্ছে।ফ্রিলান্সিং আইটি  প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং তরুণদের উৎসাহিত করছে। বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা ইতিমধ্যে বৈশ্বিক আউটসোর্সিং বাজারের উল্লেখযোগ্য অবস্থান দখল করেছে।
 
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারলে তরুণরা শুধু নিজেদের ভবিষ্যতেই নয় বরং দেশের অর্থনীতিতেও বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। আগামী দিনগুলোতে ফ্রিলান্সিংয়ের এই খাত থেকে ভবিষ্যতে আরো বেশি ইনকাম করবে বিকাশ লাভ করবে এবং এটি বাংলাদেশের জন্য আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে থাকবে। 
ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় পেশা হিসেবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। যথাযথ প্রশিক্ষণ সরকারি সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মানুষিকতা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে তরুণদের জন্য এটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তরুণদের উচিত এই ক্ষেত্রের সুযোগ গুলো কাজে লাগিয়ে নিজেদের জীবন মান উন্নত করা।

বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম

বর্তমান বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এক নতুন কর্মসংস্থান ধারা হিসেবে বিকাশিত হচ্ছে। এটি প্রযুক্তি নির্ভর একটি ক্ষেত্র যেখানে মানুষ তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশ এই খাতে বিশ্বজুড়ে একটি উল্লেখযোগ্য অবস্থান অর্জন করেছে। 
 
ফ্রিল্যান্সিং এর সংজ্ঞা এবং ধারণা 
ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি কর্মপদ্ধতি যেখানে ব্যক্তিরা স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং নির্দিষ্ট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘ মেয়াদি সম্পর্ক স্থাপনের প্রয়োজন হয় না। এটি সাধারণত ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যেখানে ক্লাইন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার একত্রিত হয় বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি বড় ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। এটি শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নেই নয় বরং বৈশ্বিক দক্ষতায় একটি শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে। 
 
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের শুরুর দিক
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০০ এর দশকের শুরুর দিকে ইন্টারনেট সংযোগের উন্নয়ন কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের সহযোগিতা এবং তরুণ প্রজন্মের প্রযুক্তি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ এই খাতকে গতিশীল করে তুলেছে, ২০১০ সালের পর থেকে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এর বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়।
 
বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ তিনটি ফ্রিলান্সিং জাতির মধ্যে একটি অন্যতম।
 
কর্মক্ষেত্র অনুযায়ী বাংলাদেশের সাফল্য
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে যেমন আপ ওয়ার্ক, ফাইবার এবং ফ্রিল্যান্সার এ বাংলাদেশি ডিজাইনারদের চাহিদা অত্যন্ত বেশি।
  • ওয়েব ডেভলপমেন্ট ও প্রোগ্রামিং ওয়েবসাইট তৈরি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্ট এবং কাস্টমস সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছে। 
  • ডিজিটাল মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এসইও এবং পেইড অ্যাড ক্যাম্পেইন বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বৈসিক প্লাটফর্মে প্রশংসিত। 
  • লেখালেখি ও কনটেন্ট ক্রিয়েশন ব্লগ লেখা কপিরাইটিং এবং কনটেন্ট ডেভলপমেন্ট অনেক বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা সফলতা অর্জন করেছে। 
  • ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের উপর সরকারের উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কে আরো উন্নত করতে নানা উদ্বেগ গ্রহণ করেছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হল। 
  • লার্নিং এবং আর্নিং ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম এলইডিপি তরুণদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের ভূমিকা পালন করছে। 
  • ইন্টারনেট সহজলভ্যতা উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের কাজের পরিবেশ উন্নত করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে তবুও এখনো কিছু বাধা রয়েছে। 
  • ইংরেজি ভাষায় দুর্বলতা অনেক ফ্রিল্যান্সারদের ইংরেজিতে দক্ষ না হওয়ার কারণে বিদেশি ক্লায়েন্টদের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে পারে না 
  • পেমেন্ট সিস্টেমের সমস্যা পেপালের মতো সহজ পেমেন্ট সিস্টেমের অভাবে এখনো বড় ধরনের বাধা 
  • প্রযুক্তি গত দক্ষতার অভাবে দেশের অনেক অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ বা প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে তরুণরা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে না।
  • বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরের জন্য ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।
  • প্রযুক্তির উন্নয়ন ৫জি ইন্টারনেট ও ডিজিটাল শিক্ষা কর্মসূচির প্রচার তরুণদের আরো বেশি সুযোগ এনে দিবে।
বিশ্বব্যাপী কাজের পরিধিবৃদ্ধি
  • বর্তমানে এ আই টুলস লার্নিং এবং ডাটা এনালাইটিক্সের মতো উচ্চতার প্রযুক্তির ভিত্তিতে কাজের চাহিদা বাড়েছে। বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা যদি এই খাতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তাহলে তারা আরো বেশি বেড়ে উঠার সুযোগ পাবে। 
  • নারীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেলে পুরো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরো দ্রুত হবে।
  • বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর আজ একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে তরুণ প্রজন্মের উদ্যোগে সরকারের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং বৈদেশিক প্ল্যাটফর্মে কাজের সুযোগ রয়েছে। এই খাতকে আরো এগিয়ে নিয়ে গেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও বড় মাত্রায় বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং হবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ কোন মার্কেট প্লেসে বেশি 

 
বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস রয়েছে। যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পেতে পারেন। তবে মার্কেটপ্লেসের পছন্দ নির্ভর করে আপনার অভিজ্ঞতা এবং কাজের ধরন অনুযায়ী। এখানে প্রধান কয়েকটি মার্কেট প্লেস সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 
 
আপ ওয়ার্ক
  • আপ ওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য অন্যতম বৃহত্তম এক জনপ্রিয় একটি সাইট এখানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট গ্রাফিক্স ডিজাইন রাইটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়।
  • ক্লায়েন্ট ও ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের সুবিধা।
  • দীর্ঘ মেয়াদি প্রজেক্ট পাওয়ার সম্ভাবনা।
  • নিরাপদ পেমেন্টে পদ্ধতি
  • আপ ওয়ার্কএকটি নির্দিষ্ট ফি কাটে যা ৭-১০%  পর্যন্ত হতে পারে। 
ফাইবার 
  • ফাইবার মূলত গিগ পাবলিশ করে কাজের জন্য পরিচিত। এখানে আপনি আপনার সেবাগুলো গিগের মধ্যে লিখে রাখবেন ক্লায়েন্টের সুবিধার জন্য। যেমন আমি ৫ ডলারে একটি লোগো ডিজাইন করে দিবো। 
  • ছোট থেকে বড় যে কোন প্রজেক্ট নেওয়া যায়।
  • ফ্রিল্যান্সাররা স্বাধীনভাবে কাজের উপর মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। 
  • ফাইবার প্রতিটি সম্পূর্ণ কাজ থেকে ২০% কমিশন কেটে নেই। 
ফ্রিল্যান্সার ডটকম 
  • ফ্রিল্যান্সার ডটকম একটি বহুল প্রচলিত মার্কেটপ্লেস। এখানে ছোট থেকে বড় সব ধরনের কাজ পাওয়া যায়। প্রতিযোগিতামূলক বিডিং সিস্টেমের মাধ্যমে।
  • হাজারো প্রজেক্ট এর অপশন।
  • প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করার সুযোগ।
  • সরাসরি মেসেজিং সুবিধা।
  • প্রতিটি প্রজেক্ট এর জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি কেটে নেওয়া হয় যা প্রজেক্ট এর আকারের উপর নির্ভর করে। 
টপ টাল 
  • টপটাল মূলত অভিজ্ঞ ফ্রিলান্সারদের জন্য এখানে শুধুমাত্র যোগ্য ফ্রিলান্সারদের পছন্দ করা হয় ।সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট ফিনান্স এবং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এর মত উচ্চ মানের কাজ এখানে বেশি পাওয়া যায়। 
  • উচ্চমানের ক্লয়েন্টদের সাথে কাজের সুযোগ।
  • প্রতিযোগিতা কম কিন্তু পছন্দের প্রক্রিয়া অনেক কঠিন।
  • দীর্ঘমেয়াদী কাজের জন্য পরিচিত।
পিপুল পার হাওয়ার 
  • পিপুল পার হাওয়ার মূলত ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়।
  • টাইম ট্রাকিং টুল ।
  • ঘন্টাভিত্তিক এবং প্রজেক্ট ভিত্তিক উভয় ধরনের কাজের সুযোগ।
  • সহজ পেমেন্ট সিস্টেম।
  • পিপুল পার হাওয়ার বাংলাদেশের জন্য খুব একটা ভালো না।
লিংকডিন
  • যারা ক্রিয়েটিভ কাজ করেন তাদের জন্য লিংকডিন এগুলোতে মূলত পোর্টফলিও দেখানোর জন্য প্ল্যাটফর্ম হলেও সরাসরি কাজের সুযোগ তৈরি করে দেয়।
  • ফ্রিলান্সারদের সংযোগ বাড়ানোর সুযোগ।
  • ব্যক্তিগত ব্রান্ড তৈরি করার প্ল্যাটফর্ম।
  • ক্লয়েন্টরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। 
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বেশি নেওয়ার সময় আপনার দক্ষতা ও লক্ষ্য বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে ফাইবার এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম শুরু করার জন্য ভালো হবে। অভিজ্ঞদের জন্য আপ ওয়ার টপ টাল হতে পারে। নিজের দক্ষতার ব্যবহার করতে এবং সঠিক ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার জন্য উপযুক্ত মার্কেটপ্লেস পছন্দ করুন। 

ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হওয়া কি সম্ভব 

বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে একটি জনপ্রিয় পেশা যেখানে ব্যক্তি নিজস্ব দক্ষতা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতে পারে। প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে ফ্রিল্যান্সিং পেশার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সফল হতে হলে কিছু নির্দিষ্ট দিক মাথায় রেখে আগাতে হবে।
 
ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে সফল হওয়া অবশ্যই সম্ভব। এটি একটি স্বাধীন পেশা যেখানে সময় এবং কাজের ধরন আপনি নিজে নির্ধারণ করতে পারেন। সফল হতে হলে মূলত তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া বেশি প্রয়োজন। 
 
দক্ষতা অর্জন ও উন্নত ফ্রিল্যান্সিং এর সফল হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি ক্ষেত্রে দক্ষ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব ডেভলপমেন্ট রাইটিং ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করে শুরু করা যায়। শুধু দক্ষতা অর্জন করলেই হবে না নিয়মিত চর্চা করতে হবে। 
 
সময় ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে সময় ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত সময় মত কাজ করতে হয় কাজের পরিকল্পনা এবং ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ রাখা বেশি প্রয়োজন।
 
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস জীবন আপ ওয়ার্ক,ফাইবার,ফ্রিলান্সার ডটকম এর মাধ্যমে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। এই প্লাটফর্ম গুলোতে কি ধরনের কাজের চাহিদা বেশি তা বোঝা এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করা সফলতার মূল চাবি কাঠি।
 
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফল হতে কিছু প্রতিযোগিতা রয়েছে প্রথম দিকে কাজ পেতে সমস্যা হতে পারে যদি আপনার প্রোফাইল নতুন হয়। এছাড়া প্রতিযোগিতার কারণে অনেক সময় কাজের জন্য সঠিক মূল্য পাওয়া কঠিন হতে পারে তবে ধৈর্য এবং ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এসব প্রতিযোগিতা মোকাবিলা করা সম্ভব। 
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে সফল হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের আইটি সেক্টর গুলো উন্নতির কারণে অনেক তরুণ তরুণী ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে সাবলম্বী হয়েছে। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার প্রতি মাসে ৫০ থেকে ১ লাখ টাকারও বেশি আয় করতে পারে। 
 
ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন এবং সম্ভাবনায় পেশা। এর মাধ্যমে সফল হতে হলে দক্ষতা পরিশ্রম ধৈর্য এবং সময়ের প্রয়োজন। যদি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা দিয়ে কাজ শুরু করা যায় তবে ফ্রিল্যান্সিং থেকে আর্থিক এবং পেশাগত ভাবে সফল হওয়া সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে কিসের প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য জনপ্রিয় পেশায় স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ ও নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করা যায়। তবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে গেলে কিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো ।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন দক্ষতা এটি হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব ডেভেপমেন্ট রাইটিং ডিজিটাল মার্কেটিং ভিডিও এডিটিং ফটোগ্রাফি বা ট্রান্সলেশন যে ক্ষেত্রে কাজ করতে চান সেই ক্ষেত্রে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করা জরুরী 
 
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ ও একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেশিরভাগ কাজ অনলাইনে সম্পন্ন হয় তাই ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া কাজ করা অসম্ভব।
 
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য একটি পোর্টফলিও থাকা  প্রয়োজন। পোর্টফোলিওতে আপনার পূর্বের কাজের নমুনা দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরা উচিত ক্লাইন্টরা কাজ দেওয়ার আগে আপনার পোর্টফলিও দেখে আপনাকে মূল্যায়ন করবে। 
 
মার্কেট রিসার্চ এবং নেটওয়ার্কিং যে কাজে ফ্রীলান্সিং করতে চান সেই কাজের মার্কেট রিসার্চ করতে হবে। কোন কাজের চাহিদা বেশি কোন কোন দক্ষতার জন্য বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া যায়। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা পেশাদার নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন লিংকডিন ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক তৈরি করা ফ্রিল্যান্সার ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক। 
 
আত্মবিশ্বাস এবং ধৈর্য্য ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম দিকে কাজ পাওয়া কঠিন হতে পারে। নতুন ফ্রিল্যান্সারদের অনেক সময় কম পারিশ্রমিকে কাজ করতে হয়। তবে সময়ের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়লে বেশি পারিশ্রমিক দাবি করা যায়। তাই শুরুতে ধৈর্য রাখা এবং নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখা গুরুত্বপূর্ণ। 
আর্থিক পরিকল্পনা ও আয় ব্যবস্থাপনা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কাজের পেমেন্ট অনলাইন প্রাথমিক মাধ্যমে আসে। এই জন্য পেপাল পেওনিয়ার বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক পেমেন্ট অ্যাপ ব্যবহারের প্রাথমিক ধারণা থাকা দরকার। এছাড়া আয় থেকে সঞ্চয় ও বিনিয়োগ করার জন্য আর্থিক পরিকল্পনা করা ও গুরুত্বপূর্ণ।
 
ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা হলেও এটি শুরু করার জন্য পরিকল্পনা এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন। সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে এটি হতে পারে একটি লাভজনক এবং দীর্ঘস্থায়ী ক্যারিয়ার ।

শেষ কথা

বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করে শেষ পর্যন্ত আমরা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আর তেমন কোন প্রশ্ন থাকার কথা নয়। যেহেতু আমরা কম বেশি সবাই মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি তাই অবশ্যই আমাদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে কিছুটা অভিজ্ঞতা হইতো সবার আছে।
 
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি নিয়মিত এ ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। আসার এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে শেয়ার করবেন। আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তী কোন আর্টিকেলে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন (আল্লাহ হাফেজ)


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url