মিয়া খলিফার জীবনের ইতিহাস সম্পর্কে
প্রাথমিক জীবন
মিয়া খলিফার জীবনের ইতিহাস সম্পর্কে মিয়া খলিফার জন্ম ১৯৯৩ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি লেবাননের বৈরুতে একটি রক্ষণশীল খ্রিস্টান পরিবার জন্ম গ্রহন করেন। তার শৈশবের সময় লেবাননের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশটির সংঘাত এবং যুদ্ধের শিকার হয়েছিল। ২০০১ সালে যখন মিয়া খরিফা প্রায় আট বছর বয়সী ছিলেন তার পরিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। সেখানকার জীবনে তাদের বেশ কিছুটা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।। তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করে এবং মিয়া তার শিক্ষাজীবন সেখানে সম্পূর্ণ করে।
মিয়া খলিফা ভার্জিনিয়া রাজ্যে বেড়ে ওঠেন এবং ইংরেজি শিখেন খুব দ্রুত আমেরিকান সাংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেন। তবুও একটি মধ্যপ্রাচ্যীয় সংস্কৃতির অংশ হওয়ার কারণে তার উপর পরিবারের সংস্কার প্রভাব ছিল। স্কুল জীবনেও তিনি বিভিন্ন কারণে কষ্টের শিকার হয়েছিলেন। বিশেষ করে তার মধ্যপ্রাচী ও পরিচয় এর জন্য।
শিক্ষাজীবন ও প্রাথমিক কর্মজীবন
বিতর্ক ও সমালোচনা
মিয়া খলিফার জীবনের ইতিহাস সম্পর্কে মিয়া খলিফার প্রাপ্তবয়স্কে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা এবং হিজাবের মতো ধর্মীয় পোশাককে ব্যবহার করে বিতর্কিত বিষয়ের সঙ্গে জড়িত হওয়া তাকে প্রচুর বিতর্ক এবং সমালোচনার সম্মুখীন করে। লেবানন ও অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোতে তার কাজের জন্য তিনি ব্যাপক ভাবে নিন্দিত হন। অনেকেই তাকে লেবাননের অপমান হিসেবে উল্লেখ করেন এবং ধর্মীয় নেতারা তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।
তবে মিয়া খলিফা নিজেকে কখনো এই কর্মজীবনের জন্য গর্বিত বলেননি। বরং তিনি প্রকাশ্য বলেন যে তিনি সেই সময় ভীষণ মানসিক চাপে ছিলেন এবং তার এই সিদ্ধান্ত তার জীবনের একটি ভুল অধ্যায় ছিল। তিনি এই শিল্পে মাত্র তিন মাস কাজ করেন এবং পরে এ কাজ ছেড়ে দেন।
আরো পড়ুন :
পেয়ারা খাওয়ার উপকারীতা ও অপকারীতা
প্রাপ্তবয়সে বিনোদন জগত থেকে সরে আসা
মিয়া খলিফার জীবনের ইতিহাস সম্পর্কে মাত্র কয়েক মাস কাজ করার পর মিয়া খলিফা প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেন। তবে ততক্ষণে তিনি এই শিল্পে সবচেয়ে বেশি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছিলেন। যদিও তিনি বিনোদন জগত থেকে সরে এসেছেন কিন্তু তার ভিডিওগুলি ইন্টারনেটে রয়ে যায় এবং তার নাম এই শিল্পের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থেকে যায়।
সামাজিক মিডিয়া ও নতুন পরিচয়
মিয়া খলিফার জীবনের ইতিহাস সম্পর্কে প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদন জগত ছেড়ে দেওয়ার পর মিয়া খলিফা সামাজিক মিডিয়ায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বিভিন্ন প্লাটফর্মে নিজেকে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। বিশেষ করে তিনি মানবাধিকার নারীর অধিকার এবং মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি তেও সোচ্চার হোন।
ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে তার বিপুলসংখ্যক অনুসারী রয়েছে এবং তিনি একজন ফুড ব্লগার এবং ক্রিয়া বিশ্লেষক হিসেবেও কাজ করেছেন।। মিয়া খলিফা স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করেছেন এবং বিভিন্ন টক শোতে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
মিয়া খলিফার জীবনের ইতিহাস সম্পর্কে মিয়া খলিফার ব্যক্তিগত জীবনেও বেশ আলোচিত। তিনি ২০১১ সালে তার প্রথম বিয়ে করেন তবে এই বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পরবর্তীতে তিনি ২০১৯ সালে রবার্ট এন্ড বার্গ নামে একজন সুইটিস এর সঙ্গে বাগদান করেন। তবে তাদের সম্পর্কেও ২০২১ সালে বিচ্ছেদে পরিণত হয়। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রচুর মিডিয়ায় জল্পনা কল্পনা থাকলেও মিয়া খলিফা সবসময়ই তার ব্যক্তিগত বিষয়গুলোকে গোপন রাখার চেষ্টা করেছন ।
সমাজসেবা ও প্রভাব
বর্তমানে মিয়া খলিফা একজন সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করছেন । তিনি বিভিন্ন দাতব্য কাজে এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করছেন।। বিশেষ করে লেবাননে ২০২০ সালে বিস্ফোরণের পর তিনি দেশের জনগণের জন্য অর্থ সংগ্রহে ভূমিকা রাখেন। তিনি তার জনপ্রিয় তাকে একটি ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন এবং সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াচ্ছেন।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
মিয়া খলিফা প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আর কোন সম্পর্ক রাখতে চান না। তিনি নিজের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েছেন এবং একজন সফল সামাজিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং ক্রিয়া বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করছেন। ভবিষ্যতে তিনি ফুড ব্লগিং স্পোর্টস এবং সমাজ সেবার মাধ্যমে নিজের পরিচয় তৈরি করতে চান।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url