বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগবে

 

 

 

 

বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগবে বাহরাইন হলো কাতার ও সৌদি আরবের সমুদ্রের মধ্যে একটি দ্বীপে অবস্থিত। আরব দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ দেশটিতে প্রচুর কাজের লোকের চাহিদার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন পদে শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে বাহরাইন সরকার। তাই বর্তমানে দেশটিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ যাচ্ছে।

বাহরাইন উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি পরিচ্ছন্ন রাষ্ট্র বাহরাইনে কয়েক ধরনের কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। একেক কাজের বেতন এক এক ধরনের হয়ে থাকে তাই যাওয়ার পূর্বে কোন কাজের উপরে গেলে ৮/১০বছর ( বা কম বেশি ) থাকতে পাওয়া যাবে। কিছু কিছু ছোট কোম্পানি আছে বাহিরের দেশ থেকে লোক নিয়ে দেড় বছর বা দুই বছর ফেরত পাঠিয়ে দেয়।

পেজসূচিপত্রঃ বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগবে .

ভূমিকা 

বাহরাইন উন্নত দেশ গুলোর মধ্যে একটি অর্থনৈতিক দেশ। তাই আজকে বাহরাইন দেশ সম্পর্কিত  আলোচনা ভিত্তিক আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানাবো বাহরাইন দেশর আয়তন কাজের বেতন  কাজের ভিসা জনসংখ্যা বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগবে। বাহরাইন এর এক দিনার সমান বাংলাদেশি কত টাকা সবকিছু জানতে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

বাহরাইন কোন কাজের চাহিদা বেশি 

বাহরাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে্রই আর্টিকেলটি। যারা বাহরাইন দেশে যেতে চাচ্ছেন সে সব মানুষদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাহরাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজের লোকের চাহিদা রয়েছে তবে অন্যান্য বছরের ন্যায় ২০২৫ এ বছরে বাহরাইন যাওয়াযর খরচ বা ভিসার দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে আর ভিসার দাম বাড়ার ফলে বাহরাইন যাওয়ার জন্য বেশি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে।

বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগবে আপনারা বাহরাইন যাওয়ার জন্য এজেন্সির সাথে কথা বলে কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে দালাল থেকে সাবধান দালালের খপ্পড়ে পড়লে ভিসা খরচ অনেক বেশি পড়তে পারে। বাহরাইন সরকার বিভিন্ন কাজের চাহিদা অনুযায়ী ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসাতে শ্রমিক নিয়োগ করছে। আর তখন আপনারা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বাহারাইন এর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তবে আবেদন করার পূর্বে আপনাকে জেনে নিতে হবে বাহরাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বাহরাইনে কোন কাজের বেতন কত ইত্যাদি সম্পর্কে বাহরাইনে যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি সেগুলো উল্লেখ করে দেওয়া হল।

  • কনস্ট্রাকশন
  • ফিনিসিং কারপ্নেটার
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • মেকানিক্যাল 
  • ড্রাইভার 
  • রোড ক্লিনার 
  • গ্লাস ক্লিনার 
  • শপিং মল 
  • কৃষি কাজ 
  • বাসা বাড়ির 
  • হোটেল/রেস্টূরেন্ট 

বাহরাইনে উপরের কাজগুলোর চাহিদা বেশি তাই আপনি যদি এ কাজ গুলোর উপরে দক্ষতা অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারে তাহলে ভালো বেতনের কাজ করতে পারবেন এবং আপনার কাজের চাহিদা বেশি থাকবে। কেননা বাহরাইন সরকার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে বেশি মূল্যায়ন করে।

বাহরাইনে কাজের ভিসা আবেদন করতে যা প্রয়োজন 

বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগবে বাহরাইনে কাজের ভিসার আবেদন করার জন্য কিছু কাগজপত্র লাগবে। এ কাগজপত্র ছাড়া ভিসা আবেদন সম্পূর্ণ করা যাবে না। এ কাগজপত্র গুলো ছাড়া আবেদন গ্রহণ করবেনা।

  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট আবেদনকারীকে সঠিক মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে যা প্রমাণ করে যে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ ।
  • বাহরাইন আরবি ভাষার দেশ ভাষায় দক্ষতা অবশ্যক নয় তবে ভাষা জানা থাকলে এটি নিজের জন্য ভালো হয়। 
  • আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে।
  • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি রঙিন ফটোকপি হলে বেশি ভালো হয়।
  • একটি বৈধ পাসপোর্ট পাসপোর্ট এর মেয়াদ ন্যূনতম দেড় বছর থাকা লাগবে।
  • কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে আপনি যে কাজে যাবেন সে কাজের অবশ্যই অভিজ্ঞতা দক্ষতা থাকতে হবে।
  • চেয়ারম্যানের সনদপত্র বা চারিত্রিক সনদপত্র।
  • শিক্ষাগত সনদপত্র বা সার্টিফিকেট।

বাহরাইনে কাজের বেতন কত 

বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগবে কাজের বেতন সাধারণত নির্ভর করে কাজের উপরে আপনি যদি জেনারেল লেবার হয়ে যান তাহলে বেতন কম আর যদি ট্রেডের উপরে যান তাহলে বেতন বেশি । আমরা যারা প্রবাসে কাজের জন্য যাবো  যে কোন দেশে কাজ শিখে যাবো। কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে কার কত বেতন বাহরাইন দেশ এর ক্ষেত্রেও ঠিক তাই বাহরাইনের নিজস্ব বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে যে কাজের বেতন যতটুকু মানসম্মত মনে হবে তাকে সেই পরিমাণ বেতন দিবে।

বাহরাইন এর অর্থ বাংলাদেশে এসে সম্ভবতই বেশি দাম রাখে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোন নাগরিক বাহরাইনে কর্মরত অবস্থায় থাকলে বাংলাদেশী নাগরিক বাহরাইনের কর্মী হিসেবে সেখান কার কর্মীদের সমপরিমাণ অর্থ বেতন পাবে। এক্ষেত্রে চাহিদার দিক থেকে বাহরাইন দেশ কিছু কিছু কর্ম শাখায় কাজের চাহিদাও অনেক বেশি ।

আরো পড়ুনঃ বেল পাতা রসের ১৩ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে

এই তথ্য সংক্ষিপ্ত ধারণা দিতে বলা যায় বাহরাইনের ১ দিনার সমান বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩১০ টাকার উপরে তাই সেখান কার দিনার বাংলাদেশে এসে অনেক গুণে বেড়ে যায়। তাছাড়া এর তথ্যসূত্রে জানা যায় যে বাহারাইনে সর্বনিম্ন বেতন যে কাজের জন্য দিয়ে থাকে সেই বেতন বাংলাদেশী অর্থ অনুযায়ী ৫০০০০/৬০০০০ হাজার টাকা এর সমতুল্য হয়ে থাকে। 

ইলেকট্রিশিয়ান কনস্ট্রাকশন মেকানিক্যাল এ সব কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আপনাকে এ সব কাজের উপরে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগবে  আপনি যদি উপরোক্ত এসব কাজে বাহারাইন যেতে চান তবে এসব কাজের অবশ্যই আপনার সার্টিফিকেট লাগবে। বাহরাইনে সাধারণত এইসব কাজের বেতন হয়ে থাকে প্রায় ৭০০/৮০০ দিনার পর্যন্ত। এগুলো যদি বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করা যায় তাহলে বেতন হয় প্রায় ২৫০০০০ টাকার কাছাকাছি আপনি যদি এসব কাজের উদ্দেশ্যে বাহারাইন যেতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগবে 

বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যাওয়ার খরচ নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর যেমন ভিসার ধরন ফ্লাইট টিকিট থাকার খরচ এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজন বাহরাইনে যাওয়া একটি সাধারণ ভ্রমণের খরচ বিশ্লেষণ করা হলো। 

ভিসার ফি বাহরাইন যেতে হলে সবার আগে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার ধরন অনুযায়ী খরচ ভিন্ন হয় পর্যটন ভিসা সাধারণত ৫০০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা প্রায় এর মধ্যে থাকে। 

কর্মসংস্থান ভিসা এই ভিসার ফি তিন লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে কারণ এতে স্পন্সর সিপ এবং অতিরিক্ত নথিপত্রের প্রয়োজন হয়। ভিসার সঙ্গে এজেন্সি ফি বা প্রসেসিং ফি যোগ হলে খরচ বাড়তে পারে।

ফ্লাইট টিকিট ঢাকা থেকে বাহরাইনের মানারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সরাসরি বা ট্রানজিট ফ্লাইটে যাওয়া যায়। সরাসরি ফ্লাইট এর টিকিট সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। সস্তা ফ্লাইট খুজতে চাইলে ট্রানজিট ফ্লাইট নিতে পারেন তবে এতে সময় বেশি লাগবে। ভ্রমণের সময় এবং এয়ারলাইন্সের উপর নির্ভর করে টিকিটের দাম পরিবর্তিত হয়।

বাহরাইন এর আবহাওয়া কেমন

বাহারাইন মধ্যপ্রাচ্যের একটি ছোট দেশ দেশটির আবহাওয়া প্রধানত গরম মরুভূমির দেশ এবং শুষ্ক হাওয়া। চলুন বাহরাইন এর আবহাওয়া সম্পর্কে জেনেনি।

গ্রীষ্মকাল ( মে থেকে অক্টোবর ) বাহরাইনে গ্রীষ্মকাল অত্যন্ত দীর্ঘ গরম এবং শুষ্ক এ সময় দিনের গড় তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে তবে কখনো কখনো এটি ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও হয়ে যায়। গ্রীষ্মকালে দেশটির আদ্রতা সাধারণত কম কিন্তু উপসাগরের নিকটবর্তী হওয়ায় উপকূলীয় এলাকা গুলোতে আদ্রতা সাভাবিক থাকে।

একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো সামাল নামে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হওয়া শক্তিশালী বাতাস এটি গ্রীষ্মকালে মাঝামাঝি সময় হয় তবে ধুলাবালির ঝড় সৃষ্টি করতে পারে, যা জনস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ গরমের কারণে বাহারাইনে অধিকাংশ কাজকর্ম দিনের প্রথম দিকে সম্পূর্ণ করতে দেখা যায়।

শীতকাল ( নভেম্বর থেকে মার্চ ) শীতকাল বাহরাইনে অল্প সময় কিন্তু শীতকাল আরামদায়ক এ সময়ের তাপমাত্রা গড়ে ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে রাতে তাপমাত্রা আরো নিচে নেমে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। মরুভূমির দেশ গুলোতে শীতকালে কিছুটা বৃষ্টিপাত হয়।

শীতকালীন আবহাওয়া বাহরাইনের মানুষের জন্য বেশ কষ্টদায়ক এ সময়ে নানা উৎসব এবং সামাজিক কার্যক্রম আয়োজিত হয় পর্যটকরাও এই সময়টি ভ্রমণের জন্য বেছে নেয়। কারণ গরমেরসময় বাহিরে যাওয় বেশ কষ্ট হয়।

বসন্ত ও শরৎ বসন্ত ( মার্চ থেকে এপ্রিল ) এবং শরৎ ( সেপ্টেম্বর অক্টোবর ) বাহরাইনের তাপমাত্রার দিক থেকে মধ্যম ধরনের এ সময় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ে বা কমে যা গ্রীষ্ম ও শীতের মধ্যবর্তী সময় এই সময়ে বাতাস তুলনামূলক মৃদু এবং কম থাকে যা বাইরে কাজ বা ভ্রমণের জন্য উপযোগী সময়।

আবহাওয়ার প্রভাবে বাহরাইনের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবন এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে বিশ্বের তীব্র গরমে বাইরে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই অনেক প্রতিষ্ঠান শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে কাজ করে কৃষি কাজ মূলত শীতকালীন বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভরশীল কারণে দেশটির পানি সংরক্ষণ একটি বড় কষ্টসাধ্যদায়ক অধিকাংশ পানি সমুদ্রের পানি লবণমুক্ত করে সরবরাহ করা হয়।

বাহরাইন এর রাজধানীর নাম 

বাহরাইনের রাজধানী মানামা, এটি দেশের সবচেয়ে বড় শহর এবং প্রধান বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মানামা উপসাগরীয় অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর যা বাহারাইন দ্বীপপুঞ্জের উত্তর পূর্ব কোণে অবস্থিত।

মানামা প্রথমবারের মতো ১৩৪৫ সালে একটি ইসলামী ঐতিহাসিক নাম হিসেবে উল্লেখিত হয়। পরবর্তীতে এটি পর্তুগিজ পার্শিয়ান এবং ওমানি শাসনের অধীনে আসে তবে ১৯৭১ সালে বাহারাইন স্বাধীনতা অর্জন করলে দেশটির রাজধানী মানামা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। শহরটি প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্যের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে যা এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

মানামা বাহরাইনের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র এখানকার প্রধান অর্থনৈতিক খাত হলো তেল ও গ্যাস। তবে শহরটি আর্থিক পরিসেবায় পর্যটন এবং নির্মাণ শিল্পেও সমানভাবে অবদান রাখছে। এখান কার আকাশ জম্বি ভবন ও আধুনিক স্থাপত্যবিদ্যা বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে।

বাহরাইনে শহর কয়টি এবং আয়তন কত 

বাহরাইন একটি ক্ষুদ্র দ্বীপে মধ্যপ্রাচ্যে উপসাগরের মধ্যে অবস্থান এটির আয়তনে খুবই ছোট মাত্র ৭৮৫ বর্গ কিলোমিটার ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। বাহরাইন মূলত একটি দ্বীপপুঞ্জ যেখানে ৩৩ টি দ্বীপ রয়েছে।

মানামা বাহরাইন এর রাজধানী মানামা যা দেশের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ শহর। এটি প্রশাসনিক অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি মানামা বিভিন্ন আধুনিক স্থাপত্য এবং বিলাসবহুল হোটেলের জন্য বিখ্যাত এখানে অবস্থিত বাহরাইনের প্রধান ব্যবসায়ী অঞ্চল এবং পর্যটকদের স্থান।

মুহাররাক বাহরাইন এর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা এটি একসময় দেশের রাজধানীও ছিল। শহরটি তার ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং সাংস্কৃতি ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত বাহরাইনের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মুহাররাকেও অবস্থিত মুহাররাকের বিখ্যাত পার্ল শিল্প এবং ঐতিহাসিক সাইট পর্যটকদের বেশ জনপ্রিয়।

রিফা শহরটি দুটি অংশে বিভক্ত পশ্চিম রিফা এবং পূর্ব রিফা এটি একটি আবাসিক এলাকা এবং বাহরাইনের শাসন পরিবারের বাসস্থান এখানে বেশ কিছু ঐতিহাসিক কেল্লা এবং পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে এবং তুলনামূলক শান্ত পরিবেশের জন্য পরিচিত।

সিতরা মূলত একটি শিল্প আবাসিক শহর এটি দেশের প্রধান শিল্পাঞ্চল গুলোর একটি এবং এখানে অনেক তেল শোধনাগার এবং অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সিতরা তার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং নৌবন্দর গুলোর জন্য পরিচিতি।

বাহরাইনের বৈশিষ্ট্য বাহরাইনের আয়তন মাত্র ৭৮৫ বর্গ কিলোমিটার তবে এটি অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী দেশ ।এখান কার প্রধান অর্থনৈতিক খাত হলো তেল এবং গ্যাস। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ১৭ লক্ষের মত।

বাহরাইনের আধুনিক জীবনধারা এবং ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির একটি সুন্দর মিশ্রণ তৈরি করে এখানে ইসলামিক ঐতিহ্যের প্রভাব স্পষ্ট তবে দেশটি তুলনামূলক ভাবে উদার এবং প্রগতিশীল। এর শহর গুলোর উন্নত অবকাঠামো এবং উচ্চ জীবনযাত্রার মান বাহরাইনকে মধ্যপ্রাচীর একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ

লেখকের শেষ মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে বাহরাইনে কোন কাজের লোকের চাহিদা বেশি এবং বাহরাইনে কোন কাজের বেতন কত সর্বনিম্ন বেতন কত কোন কাজের বেতন বেশি বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগবে এবং বাহরেইনে যাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি বাহরাইন যেতে চান তবে অবশ্যই কাজের উপর দক্ষতা অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাবেন তাহলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে বেশি টাকা উপার্জন করে।

প্রিয় পাঠক আপনারা এরকম আরো বিভিন্ন দেশের তথ্যের প্রয়োজন হয় তাহলে এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন অথবা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে পারবেন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ( আল্লাহ হাফেজ )


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url