ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয়
ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয় ড্রাগন ফল যা পিতাহায়া নামেও পরিচিত বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফল। এটি মূলত ক্যাকটাস প্রজাতির উদ্ভিদ থেকে উৎপন্ন হয় এবং দক্ষিণ আমেরিকা মধ্য আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চাষ করা হয়।
পেজসূচিপত্রঃ ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয় .
ভূমিকা
ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয় এই সম্পর্কে জানতে হলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য এই আর্টিকেলটিতে ড্রাগন ফল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ফাইবার আইরন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এই আর্টিকেলটিতে উপকারিতা অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম এসব জানতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার পর প্রসাব লাল হওয়ার কারণ
ড্রাগন ফল বিশেষ করে লাল বা গোলাপি জাতের রেড পিয়াটা হাওয়ার পর অনেকের প্রসব বা মল লালচে হতে পারে। এটি সাধারণত ক্ষতিকর নয় তবে প্রথমবার এমন কিছু দেখলে অনেকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তে পারেন।
ড্রাগন ফলে উপস্থিতি রঞ্জক পদার্থ থাকে ফলে প্রচুর পরিমাণে বিটালেইন নামক এক ধরনের প্রাকৃতিক রঞ্জক পদার্থ থাকে যা এই ফল কে উজ্জ্বল লাল বা গোলাপী রং দেয় যখন। আমরা ড্রাগন ফল খাই তখন এই বিটালেইন শরীরে হজম প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। কিন্তু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে শরীরে এটি সম্পূর্ণরূপে ভাঙতে পারেনা এবং প্রসাব বা মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে যার ফলে প্রসব লালচে দেখায়।
বিটুরিয়া লাল প্রসাব এর সম্ভাব্য কারণ ড্রাগন ফল খাওয়ার পর প্রসাব লালচে হয়ে গেলে একে বিটুরিয়া বলা হয়। সাধারণত এটি নিরাপদ একটি শারীরবৃত্তীয় অবস্থা এবং কয়েক ঘন্টা বা একদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে ভিটুরিয়ার কারণ শুধুমাত্র ড্রাগন ফল নয় বিটরুট,বলুবেরি,চুকন্দর ইত্যাদি খাবার খাওয়ার পরেও প্রসাব লাল হতে পারে।
কখন চিন্তিত হওয়া যায় যদিও ড্রাগন ফলের কারণে প্রসব লাল হওয়া স্বাভাবিক তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি অন্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে ।
- রক্ত মিশ্রিত প্রসাব কিডনি বা মূত্রনালির সংক্রমণ পাথর বা অন্যান্য সমস্যার কারণে যদি রক্ত আসে তবে এটি গুরুতর হতে পারে।
- অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খাওয়া যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা না হয় তাহলে রং বেশি গাঢ় হতে পারে।
- অন্য কোন ওষুধ বা সম্পুরক গ্রহণ কিছু ওষুধ বা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট প্রসাবের রং পরিবর্তন করতে পারে
নিরাময়ের উপায়
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে প্রসাব দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসে।
- একদিনের মধ্যে যদি প্রসাবে রং স্বাভাবিক না হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- অন্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যা আছে কিনা তা খেয়াল রাখা উচিত।
ড্রাগন ফল খাওয়ার পর প্রসাব লাল হওয়া সাধারণত স্বাভাবিক এবং উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটি মূলত ফলের প্রাকৃতিক রঞ্জক পদার্থের কারণে হয়ে থাকে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে যদি দীর্ঘ সময় ধরে লাল প্রসাব থাকে বা অন্য কোন উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জরুরি।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয় ড্রাগন ফল যা পায়তায়া নামে পরিচিত বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর উজ্জ্বল গোলাপী বা হলুদ খোসা ও ভিতরের সাদা বা লাল রঙের গাঢ় বীজ যুক্ত গঠন দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি এটি পুষ্টিগুনেও ভরপুর। ভিটামিন মিনারেল এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফলটি আমাদের দেশে শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চলুন জেনে নিই ড্রাগন ফলের বিস্ময়কর উপকারিতা সম্পর্কে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ক্যারোটিনয়েড রয়েছে যা আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং সর্দি-কাশির মতো সাধারণ অসুস্থতা দূর করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ
আখের রস খাওয়ার উপকারিতা
হজম শক্তি বাড়ায় এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। ড্রাগন ফল খেলে কষ্টকাঠিন্য দূর হয় এবং অন্ত্রেরের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। প্রবায়োটিক উপাদান থাকার কারণে এটি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে যা হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
হৃদ যন্ত্রের জন্য ভালো ড্রাগন ফলে থাকা ফায়ার ভৌনেট বিকালের এবং ফাইবার হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে। এটি রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্টকের ঝুঁকি কমায়।
রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ড্রাগন ফল টিতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয় চুলের যত্নে সহায়ক ড্রাগন ফলে থাকা পুষ্টিগুণ চুলের বৃদ্ধি তরাম্বিত করে এবং চুলের সুষ্কতা দূর করে। নিয়মিত এই ফল খেলে চুল মজবুত ও ঝলমলে হয়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে ড্রাগন ফলে ক্যালোরি ও ফ্যাটের পরিমাণ কম কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা দীর্ঘক্ষণ ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের প্রবণতা কমায়। ফলে ওজন কমাতে সহায়তা করে
হাড় শক্তিশালী করে ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা হাড়ের গঠন মজবুত রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য এটি খুবই উপকারী কারণ এটি অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ড্রাগন ফলে থাকা বিটালেন ও এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল প্রতিরোধে সাহায্য করে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এটি বিশেষ করে কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস হওয়ার কারণে ড্রাগন ফল মানসিক চাপ কমাতে এবং ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এটি স্নায়ুতন্ত্র কে শান্ত রাখে এবং হতাশা ও উদ্বিগ্ন কমাতে সহায়ক।
ড্রাগন ফল শুধু সুস্বাদু নয় এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং উপকারী। ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয় নিয়মিত এই ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হজম শক্তি উন্নত হৃদ রোগের ঝুঁকি হ্রাস ওজন নিয়ন্ত্রণ সহ আরো নানা উপকার পাওয়া যায়। তাই সুস্থ জীবনযাত্রা বজায় রাখতে এই ফল খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফল যা পিতা-হায়া নামে পরিচিত এটি ক্যাকটাস পরিবারের একটি ফল। এর পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য এটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে প্রতিটি খাবারের যেমন উপকারিতা থাকে তেমনি কিছু অপকারিতা থাকতে পারে। বিশেষত যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় বা কেউ নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন তবে কিছু নীতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ড্রাগন ফলের সম্ভাব্য অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
এলার্জির প্রতিক্রিয়া অনেকের শরীর ড্রাগন ফলে থাকা নির্দিষ্ট যোগের প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে। এটি খাওয়ার পর এলার্জির লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন
- ত্বকে র্যাশ বা চুলকানি।
- ঠোঁট জিহ্বা বা গলা ফোলা।
- শ্বাসকষ্ট বমি ভাব।
যারা সাধারণত নতুন খাবারের প্রতি সংবেদনশীল তাদের জন্য এই ফল এলার্জির কারণ হতে পারে।
রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে ড্রাগন ফলে প্রাকৃতিক চিনি থাকলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী হতে পারে তবে ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমিয়ে দিতে পারে। ফলে এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে ক্লান্তি দুর্বলতা মাথা ঘরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খেলে হজম জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে এর মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা গ্যাস ও পেট ফাঁপা পেটব্যথা।
ড্রাগন ফলে উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকা এটি অন্তরে পানি ধরে রাখতে পারে যার ফলে বেশি পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণের ঝুঁকি ড্রাগন হলে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ( বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি ) থাকে যা সাধারণত শরীরের জন্য উপকারী। তবে অতিরিক্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ করলে কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমন।
- কোষের অক্সিডেটিভ ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি হতে পারে।
- লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে।
- ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে ড্রাগন ফলে উচ্চমাত্রার অক্সালেট থাকতে পারে যা কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি বিপদজনক হতে পারে। তাই কিডনির অসুস্থতা থাকলে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।
রং পরিবর্তনের কারণে বিভ্রান্তি সৃষ্টি অনেক সময় ড্রাগন ফল খাওয়ার পর প্রসাব বা মল লালচে হয়ে যেতে পারে। এটি সাধারণত ক্ষতিকর নয় তবে অনেক মানুষ এটিকে রক্তক্ষরণের লক্ষণ ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
- ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া ড্রাগন ফলের নির্দিষ্ট উপাদান কিছু ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে বিশেষ করে।
- ডায়াবেটিসের ওষুধ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত কমিয়ে দিতে পারে।
- রক্ত পাতলা করার ওষুধ এতে থাকা নির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদান রক্ত জমাট বাধার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
- এন্টিবায়োটিক ওষুধ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ড্রাগন ফলের নির্দিষ্ট যোগ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।
তাই যারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
যদিও ড্রাগন ফল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে এটি অতিরিক্ত খেলে বা কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থা এটি ক্ষতিকর হতে পারে। এলার্জি হজমজনিত সমস্যা রক্তে শর করার মাত্রা পরিবর্তন এবং ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়ার মত সমস্যাগুলোর কথা মাথায় রেখে পরিমিত মাত্রায় এটি গ্রহণ করাই ভালো।
ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয় যাদের ডায়াবেটিস কিডনির সমস্যা বা হজমের দুর্বলতা রয়েছে তাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পরামর্শ
- নতুন কোন খাবার খাওয়ার আগে ছোট পরিমানে খাওয়া শুরু করুন।
- যদি এলার্জির লক্ষণ দেখা যায় তবে তৎক্ষণাৎ খাওয়া বন্ধ করুন।
- ড্রাগন ফল খাওয়ার পর প্রসাব বা মলের রং পরিবর্তন হলে আতঙ্কিত হওয়ার আগে পর্যবেক্ষণ করুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পর অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খাবেন না।
পরিমিত পরিমাণে খেলে ড্রাগন ফলের উপকারি হতে পারে। তবে অতিরিক্ত খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। সুতরাং স্বাস্থ্য সচেতন ভাবে এটি গ্রহণ করাই উত্তম।
গ্রাহন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয় ড্রাগন ফল সুস্বাদু পুষ্টিকর একটি ফল । এটি ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদের ফল এবং ভিটামিন খনিজ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর। নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তবে এটি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি জানা জরুরী।
ড্রাগন ফল চেনা ও কেনা ড্রাগন ফল সাধারণত তিন ধরনের হয় লাল বা গোলাপি খোসার সঙ্গে সাদা ভেতর, লাল বা গোলাপি খোঁসার সঙ্গে লাল ভেতর এবং হলুদ খোসার সঙ্গে সাদা ভেতর ভালো মানের ড্রাগন ফল কেনার সময় দেখতে হবে ফলটি বেশি শক্ত বা বেশি নরম না হয়। মাঝারি শক্ত ও ত্বক উজ্জ্বল হলে তা খাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
আরো পড়ুনঃ
বেল পাতা রসের ১৩ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
ড্রাগন ফল খোসা ছাড়ানোর পদ্ধতি ড্রাগন ফলের খোসা সহজে ছাড়ানো যায়। প্রথমে ফলটিকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে এরপর একটি ধারালো ছুরি দিয়ে ফলটিকে দুই ভাগে কেটে নিতে হবে এরপর চামচ বা হাত দিয়ে সহজে খোসা ছাড়িয়ে দেওয়া যায়। অনেকে ফলটি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে খোসা ছাড়িয়ে নেন।
কাঁচা খাওয়ার নিয়ম ড্রাগন ফল সাধারণত কাঁচা খাওয়া হয়। টুকরো টুকরো করে কাটার পর সরাসরি খেতে পারেন অথবা চামচ দিয়ে তুলে খাওয়া যায়। এটি মিষ্টি ও হালকা টক স্বাদের হয়ে থাকে। তাই আলাদা করে চিনি বা অন্য কিছু মেশানোর দরকার হয় না।
জুস ও ডেজার্টে ব্যবহার ড্রাগন ফল দিয়ে জুস তৈরি করা যায় এটি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে ছেকে নিয়ে পান করতে পারেন। অনেক সময় এটি আইসক্রিম কেক পুডিং জেলে ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাবারের ব্যবহার করা হয়।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয় ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ক্যালসিয়াম আয়রন এবং ফাইবার রয়েছে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বকের জন্য উপকারী। এছাড়া এতে উপস্থিতি ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর।
প্রিয় পাঠক আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং এই ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url