অ্যালার্জি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
অ্যালার্জি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় অ্যালার্জি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা বিভিন্ন উপাদানের এটি সংস্পর্শে এলে শরীরে অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
পেজসূচিপত্র: অ্যালার্জি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় .
অ্যালার্জির কারণ চিহ্নিতকরণ
অ্যালার্জি মুক্তির প্রথম ধাপ হল এর কারণ চিহ্নিত করা। এটি জানতে স্কিন টেস্ট বা ব্লাড টেস্ট করা যেতে পারে। নির্দিষ্ট উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হলে তার থেকে দূরে থাকা সহজ হবে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন যদি ধুলোবালি বা পরাগরেনু থেকে অ্যালার্জি হয় তাহলে বাড়ির জানালা বন্ধ রাখুন নাকে মাস্ক ব্যবহার করুন এবং ঘর নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেই নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চলুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ালে অ্যালার্জির সমস্যা কমে যেতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং ব্যায়াম করা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অ্যালার্জি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় প্রাকৃতিক উপায়ে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা
করুন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান অ্যালার্জির প্রতিরোধে কার্যকরী হতে পারে যেমন-
- মধু কাঁচা মধু খেলে পরাগরেণু এলার্জি কমতে পারে।
- আদা ও হলুদ এগুলোতে প্রদাহনাশক উপাদান থাকে যা অ্যালার্জির প্রতিরোধে সহায়ক।
- গ্রীন টি এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা অ্যালার্জির প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন যদি অ্যালার্জির সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। তারা অ্যান্টিহিস্টামিন স্টেরয়েড বা ইমিউনোথেরাপি পরামর্শ দিতে পারেন যা অ্যালার্জির চিকিৎসায় কার্যকরী হতে পারে।
হাইজিন বজায় রাখুন ব্যক্তিগত ও পরিবেশগত পরিছন্নতা বজায় রাখা অ্যালার্জির প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত হাত ধোয়া ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা এবং অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান থেকে দূরে থাকা অবশ্যক।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করতে পারে ফলে অ্যালার্জির প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। ধ্যান যোগ ব্যায়াম পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইমিউনোথেরাপি গ্রহণ করুন যদি দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান চান তাহলে ইমিউনোথেরাপি এটি একটি কার্যকারী পদ্ধতি হতে পারে। এটি এলার্জির প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং ধীরে ধীরে শরীরকে সংবেদনশীলতা থেকে মুক্ত করে।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন এলার্জির মুক্তির জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। দুধ বাদাম চিংড়ি মাছ ইত্যাদির প্রতি সংবেদনশীল হলে সেগুলো এড়িয়ে চলুন বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও পুষ্টিকর খাবার খান।
অ্যালার্জি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় চিকিৎসা ও ওষুধ সঠিকভাবে ব্যবহার করুন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষধ গ্রহণ করা উচিত নয়। কিছু অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ এলার্জির লক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তবে এগুলো দীর্ঘমেয়াদী না খাওয়াই ভালো।
আরো পড়ুন:
গর্ভাবস্থার জন্য তরমুজ খাওয়া ভাল জেনে নিন
অ্যালার্জি থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে হলে ধৈর্য ধরে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে অ্যালার্জির সমস্যা কমে যেতে পারে।
অ্যালার্জি রোগের লক্ষণ
অ্যালার্জি হল শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ইমিউন সিস্টেম এর ধরনের অতি সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া যা না হলে সাধারণ নতুন নির্দোষ পদার্থের যেমন ধূলিকণা ফুলের পরাগ কিছু খাবার বা ওষুধ সংস্পর্শে এলে ঘটে। এটি বিভিন্ন লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে যা হালকা থেকে তীব্র পর্যন্ত হতে পারে।
অ্যালার্জি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় অ্যালার্জির সাধারণ লক্ষণ সমূহ অ্যালার্জির লক্ষণ একেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে এবং এটি নির্ভর করে কিসের কারণে অ্যালার্জি হচ্ছে তার ওপর নিচে কিছু সাধারণ লক্ষণ এর বিবরণ দেওয়া হলো।
১. ত্বকে অ্যালার্জির লক্ষণ
- চুলকানি লালচে ভাব বা ফুসকুড়ি।
- ত্বক ফলা ভাব হাইভস।
- একজিমা বা ত্বকের শুষ্কতা এবং ফেটে যাওয়া।
- সংস্পর্শে এলেই ত্বকের জ্বালাপোড়া।
২. শ্বাস প্রশ্বাস জনিত এলার্জির লক্ষণ
- নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা নাক দিয়ে পানি পড়া।
- হাচি হওয়া।
- চোখ লাল হয়ে যাওয়া ও পানি পড়া।
- গলা চুলকানো বা ব্যথা।
- কাশী ও শ্বাসকষ্ট যারা এজমা বা ব্রঙ্কাইটিসে ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে।
৩. খাদ্যজনিত অ্যালার্জির কারণ লক্ষণ
- মুখ বা গলার ভেতর চুলকানি বা ফোলা ভাব।
- বুমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
- পেট ব্যথা গ্যাস বা ডায়রিয়া।
- ত্বকে ফুসকুড়ি বা লালচে দাগ।
৫. চোখ ও কানের অ্যালার্জির লক্ষণ
- চোখ লাল হয়ে যাওয়া চুলকানি ও পানি পড়া।
- কানের মধ্যে চুলকানি বা অস্বস্তি।
- শুনতে সমস্যা হওয়া বা কানে চাপ অনুভব করা।
৬. তীব্র অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া অ্যানাফাইল্যাক্সিস
কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এলার্জি মারাত্মক হতে পারে যা অ্যানাফাইল্যাক্সিস নামে পরিচিত। এটি জীবন নাশকের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং অবিলম্বে চিকিৎসা নেয়া জরুরী এর লক্ষণ গুলো হল।
- শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
- রক্তচাপ কমে যাওয়া।
- চামড়ার নীলচে বা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া।
- অজ্ঞান হয়ে পড়া।
অ্যালার্জি বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশ পেতে পারে এবং এটি কারও ক্ষেত্রে হালকা আবার কারো ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে। তাই অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। যদি কারও অ্যালার্জি মারাত্মক হয় তবে তাকে সব সময় ইপিপেন বা জরুরী ওষুধ সঙ্গে রাখা উচিত।। অ্যালার্জির কারণ শনাক্ত করে তা এড়িয়ে চলায় এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম উপায়।
অ্যালার্জি কি বাহিত রোগ
অ্যালার্জি হল শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইমিউন সিস্টেম এক অতি সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া যা নির্দিষ্ট কিছু পদার্থের সংস্পর্শে এলে ঘটে। সাধারণ এই পদার্থগলো অন্যদের জন্য ক্ষতিকর নয় কিন্তু অ্যালার্জি যুক্ত ব্যক্তির শরীর এগুলোকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে তুলে।
অ্যালার্জির কারণ ও বাহিত রোগের ধারণা বাহিত রোগ বলতে সাধারণত যেসব রোগ বোঝানো হয় যা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়াতে পারে এটি ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ফাঙ্গাস বা পরজীবী দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। উদাহরণস্বরুপ ফলু, টিউবারকুলোসিস, কলেরা, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি বাহিত রোগের মধ্যে পড়ে।
আরো পড়ুন:
সফেদা ফল কি সফেদা ফলের ১৪ টি উপকারীতা
অ্যালার্জি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় অন্যদিকে অ্যালার্জি কোন সংক্রমণ বা
বাহিত রোগ নয় কারণ এটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিদের সরাসরি ছড়াই না। এটি
মূলত বংশগত বা পরিবেশগত কারণে হয়। তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এলার্জির সংক্রমণ
যোগসূত্রে থাকতে পারে যা নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হলো।
অ্যালার্জি কি সংক্রামক হতে পারে এলার্জি স্বাভাবিক ভাবে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়াই না তবে এলার্জির প্রবণতা বা ঝুঁকি বংশগতভাবে পরিবারের মধ্যে থাকতে পারে।। যদি বাবা-মা একজন বা উভয়েই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হন তাহলে তাদের সন্তানদেরও এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- অ্যালার্জির কারণ শ্বাসকষ্ট বা হাচি অনেক সময় ভাইরাস জনিত ফলু বা ঠান্ডার সাথে মিলে থাকতে পারে।
- ত্বকের এলার্জি কোন নির্দিষ্ট রাসায়নিক বা সংক্রমণের কারণে হতে পারে যা পরিবেশ থেকে একজনের ত্বকে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যালার্জি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় অ্যালার্জির ধরন ও প্রতিরোধ অ্যালার্জির
প্রধান কিছু ধরন।
- শ্বাসযন্ত্রেরর অ্যালার্জি ধূলাবালি পরাগরেণু পশুর লোম বা ছত্রাক হতে থেকে হতে পারে।
- ত্বকের অ্যালার্জি কিছু প্রসাধনী রাসায়নিক পদার্থ বা নির্দিষ্ট খাবারের কারণ হতে পারে।
- খাদ্যজনিত অ্যালার্জি বাদাম দুধ ডিম চিংড়ি ইত্যাদি খাবার খেলে অ্যালার্জি হতে পারে।
- ওষুধ জনিত অ্যালার্জি কিছু অ্যান্টিবায়োটিক বা ব্যথা নাশক ওষুধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা অ্যালার্জি প্রতিরোধের জন্য কিছু সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
- অ্যালার্জেন চিহ্নিত করে তা এড়িয়ে চলা।
- ধুলো ধোয়া বা রাসায়নিক থেকে দূরে থাকা।
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিহিস্টামিন বা স্টেরয়েড ওষুধ সেবন করা।
- ইমিউনোথেরাপি বা অ্যালার্জি শট নেওয়া যেতে পারে।
অ্যালার্জি কোন বাহিত বা সংক্রামক রোগ নয়, এটি মূলত শরীরের অতি সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া ফল। তবে বংশগত ভাবে বা পরিবেশগত কারণে অ্যালার্জির প্রমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। সঠিকভাবেই অ্যালার্জেন চিহ্নিত করে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব
অ্যালার্জি জাতীয় খাবার
খাদ্য অ্যালার্জি একটি সাধারণ সমস্যা যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে। এটি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবহার ব্যবস্থার ইমিউন সিস্টেম একটি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া যা নির্দিষ্ট কিছু খাবারের উপাদানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সাধারণত শরীরে প্রোটিন চিনি বা অন্যান্য খাদ্য উপাদান কে ক্ষতিকারক হিসেবে ভুল বুঝে প্রতিক্রিয়া দেখায় যার ফলে অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা যায়।
অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী প্রধান খাবার বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে নির্দিষ্ট কিছু খাবার অ্যালার্জির জন্য বেশি দায়ী। নিচে কিছু সাধারন অ্যালার্জি জনিত খাবারের তালিকা দেওয়া হল।
দুধ ও দুগ্ধ জাত পণ্য গরুর দুধে থাকা প্রোটিন যেমন ক্যাসেইন এবং ওহে অনেক মানুষের জন্য অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। শিশুদের মধ্যে এই অ্যালার্জি বেশি দেখা যায় লক্ষণ হিসেবে ত্বকে ফুসকড়ি বমি পেটব্যথা শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হতে পারে।
অ্যালার্জি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় ডিম বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশ অনেকের জন্য অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। ডিমের ভিতরে থাকা ওভালবুমিন প্রোটিনকে শরীর ক্ষতিকারক হিসেবে চিনতে পারে এবং প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়া দেখায়।
বাদাম অর চিনা বাদাম বাদাম যেমন আখরোট কাজু আমন্ড পেস্তা বাদাম এবং চিনা বাদাম পিনাট অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবার। অনেক সময় বাদামের সামান্য উপস্থিতি মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে যা এনাফাইল্যাক্সিস নামে পরিচিত এটি জীবন ঘাঁতি হতে পারে।
আরো পড়ুন:
কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
সয়াবিন সয়াবিন এবং সয়া জাত পণ্য যেমন টোফু সৈয়া দুধ ইত্যাদির কারণে অনেক মানুষের অ্যালার্জি হয়। এটি শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায় তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের ক্ষেত্রে এই অ্যালার্জি দূর হয়ে যায়।
অ্যালার্জি সম্পর্কের শেষ কথা
অ্যালার্জি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় অ্যালার্জি হল শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অতি সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া যা নির্দিষ্ট উপাদানের অ্যালার্জেন সংস্পর্শে এলে ঘটে। সাধারণ অ্যালার্জি গুলোর মধ্যে ধুলোবালি পরাগ খাবার ওষুধ পোষাপ্রাণীর লোম এবং কীটপতঙ্গের হুল অন্তর্ভুক্ত। অ্যালার্জির লক্ষণ হতে পারে হাঁচি কাশি চোখ চুলকানো ত্বকের র্যাস শ্বাসকষ্ট এমন কি অ্যানাফাইল্যাক্সিসের মত গুরুতর প্রতিক্রিয়া।
অ্যালার্জি নির্ণয়ের জন্য ত্বকের পরীক্ষা ও রক্ত পরীক্ষা করা হয় চিকিৎসার মধ্যে অ্যালার্জির এড়ানো এন্টিহিস্টামিন ও স্টেরয়েড ওষুধ সেবন এবং ইমিউনোথেরাপি অন্তর্ভুক্ত। কিছু অ্যালার্জি স্থায়ী হলেও সঠিক ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এলার্জি এড়াতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ধুলোবালি ও ধোঁয়া এড়ানো এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। কারও গুরুতর এলার্জি থাকলে সঙ্গে ইপিনেফ্রিন ইনজেকশন রাখা উচিত সময় মতো সচেতনতা ও চিকিৎসা গ্রহণ অ্যালার্জির ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url