গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার কি কি
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার কি কি গর্ভাবস্থায় মায়ের এবং শিশুর
সুস্থতার জন্য সঠিক পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে সঠিক
খাদ্যাভ্যাস শুধু মা নয় অনাগত শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে।
গর্ভবতী মায়ের খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন না নিলে পুষ্টিহীনতা রক্তস্বল্পতা
দুর্বলতা গর্ভকালীন জটিলতা এবং শিশুর অপুষ্টি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই
গর্ভাবস্থায় কি খাবার গ্রহণ করা উচিত এবং কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত তা জানা
অত্যন্ত জরুরি।
পেজসূচিপত্রঃ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার কি কি .
গর্ভবতী মহিলার পুষ্টির চাহিদা
গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের দৈনিক পুষ্টি চাহিদা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়।
গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে অতিরিক্ত ক্যালোরির প্রয়োজন না হলেও দ্বিতীয় তিন মাস
প্রতিদিন ৩০০-৫০০ ক্যালোরি বেশি প্রয়োজন হয়। এছাড়া পর্যাপ্ত প্রোটিন
ক্যালসিয়াম আয়রন ফলিক অ্যাসিড ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য ভিটামিন ও
খনিজ গ্রহণ করা জরুরী।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার কি কিগর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার
কি কি গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিচে
গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী কিছু পুষ্টিকর খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুনঃ
বাচ্চাদের মাখনা খাওয়ার উপকারিতা
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রোটিন শিশুর কোষ গঠনে সহায়তা করে এবং গর্ভাবস্থার
বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।
- ডিম উচ্চ মাত্রার প্রোটিন ভিটামিন ডি বি ১২ এবং ফলিন আছে যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের সাহায্য করে।
- মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ যেমন স্যামন টুনা সার্ডিন গর্ভাবস্থায় উপকারী।
- মাংস লীন মাংস চর্বি বিহীন গরু বা মুরগির মাংস উচ্চ প্রোটিন এবং আয়রনের ভালো উৎস।
- ডাল ও বাদাম বিভিন্ন ধরনের ডাল ছোলা মসুর এবং কাঠবাদাম আখরোট প্রোটিনের ভালো উৎস।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনের ক্যালসিয়াম অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
- দুধ ও দুগ্ধজাত পন্য দুধ দই ছানা ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস।
- সবুজ শাকসবজি পালং শাক ব্রকলি এবং অন্যান্য সবুজ শাক ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে।
- তিল ও বাদাম তিলের বীজ ও আমন্ডে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গর্ভবস্থায় রক্তস্বল্পতা রোধে আয়রন অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
- লাল মাংস চর্বিহীন গরুর মাংস ও মুরগির কলিজা আয়রনের ভালো উৎস।
- ডাল ও শাকসবজি ডাল পালং শাক মেথি শাক বিট ইত্যাদি আয়রন সরবরাহ করে।
- বাদাম ও বীজ কিসমিস খেজুর চিয়া সিড ফ্লাক্স সিড ইত্যাদি আয়রন সরবরাহ করে।
ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার ফলিক অ্যাসিড শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সহায়তা
করে এবং জন্মগত ত্রুটি রোধে সাহায্য করে।
- সবুজ শাকসবজি পালং শাক ব্রুকলি বাঁধাকপি।
- ডাল ও বীজ মসুর ডাল ছোলা সূর্যমুখী বীজ।
- কমলালেবু ও কলা এই ফলগুলোতে প্রচুর ফলিক এসিড থাকে।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার কি কি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার
শিশুর মস্তিষ্ক ও চোখের গঠনে সহায়ক।
- মাছ স্যামন টুনা সার্ডিন।
- চিয়াসীড ও ফ্লাক্সসিড।
- বাদাম ও আখরোট।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কষ্ট কাঠিন্য গর্ভ অবস্থায় সাধারণ সমস্যা ভাইবারযুক্ত খাবার
এই সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক।
- ওটস ব্রাউন রাইস চিয়া সীড।
- সবুজ শাকসবজি ও ফল আপেল নাশপাতি আম পেঁপে গাজর।
- ডাল ও বাদাম।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার কি কি পানি ও তরল খাবার গর্ভাবস্থায়
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা জরুরী এটি শরীরকে আদ্র রাখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
রাখে এবং কষ্টকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
- ৮-১০ গ্লাস পানি
- ডাবের পানি প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ।
- ফল ও সবজি রস।
গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা শুধু মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য নয়
শিশুর সুস্থ বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন গর্ভবতী মা তার খাদ্য
তালিকায় প্রোটিন আয়রন ক্যালসিয়াম ফাইবার ফলিক অ্যাসিড এবং ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ
খাবার অন্তর্ভুক্ত করবেন। পাশাপাশি ক্ষতিকর খাবার এড়িয়ে চলা এবং পর্যাপ্ত পানি
পান করা ও জরুরী। সঠিক খাদ্যাভ্যাস গর্ভাবস্থায় সুস্থ ও ঝুঁকিমুক্ত করে তুলে যা
মা ও শিশুর উভয়ের জন্য কল্যাণকর।
গর্ভবতী অবস্থায় যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন
গর্ভবস্থায় একজন নারীর সুস্থতা এবং অনাগত শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য পুষ্টিকর
খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু খাবার রয়েছে যা গর্ভবতী নারীদের
এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এগুলো মায়ের স্বাস্থ্য এবং শিশুর বিকাশের উপর নেতিবাচক
প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হল যা গর্ভাবস্থায়
এড়িয়ে চলা উচিত।
আরো পড়ুনঃ
গর্ভাবস্থায় আদা চা খাওয়া যাবে কি
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার কি কি কাঁচা বা আধা সিদ্ধ মাংস ও ডিম কাঁচা
বা কম সিদ্ধ মাংস এবং ডিমের শালমুনা লিস্টেরিয়া ও অন্যান্য ক্ষতিকারক
ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা খাদ্যজনিত সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। এই ধরনের সংক্রমণ
গর্ভের শিশুর জন্য মারাত্মক হতে পারে।
- কাঁচা বা আদা সিদ্ধ ডিম।
- কাঁচা বাবা কম সিদ্ধ মাংস যেমন স্টেক শুসি স্যাসেুজ। ৃ
- আনপাস্তরাইজড দুগ্ধ জাত খাবার।
অতিরিক্ত ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় ক্যাফেইন বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে এটি গর্ভস্থ
শিশুর হৃদস্পন্দের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং কম ওজনে শিশুর জন্মের ছবি
বাড়ায়।
- ক্যাফিন যুক্ত পানিও যায এড়িয়ে চলা উচিত।
- অতিরিক্ত চা ও কফি।
- এলার্জি ড্রিংস। সফট ড্রিংকস যাতে ক্যাফেইন থাকে।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার কি কি নিরাপদ মাত্রা গর্ভবতী নারীর
প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন।
আনপাস্তরাইজড দুধ ও দুগ্ধ জাত পুণ্য। আনপাস্তরাইজড দুধ ও দুগ্ধ যা খাবারের
লিস্টোরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা গর্ভস্থ শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে
পারে। নিরাপদ বিকল্প
- আনপাস্তরাইজড দুধ ও দই।
- ভালোভাবে রান্না করা পানির।
কাঁচা মাছ ও সামুদ্রিক খাবার। কাঁচা মাছ যেমন সো শুশি শাসিমী এবং কিছু সামুদ্রিক
খাবারে পারদ মার্কারি বেশি থাকতে পারে যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য ক্ষতিকর
এড়িয়ে চলুন।
- কাঁচা মাছ।
- হাঙ্গর সর্ট ফিস কিং মেকারেল যাতে বেশি পারদ থাকে
- নিরাপদ বিকল্প কম পারদ যুক্ত মাছ যেমন তেমন তেলাপিয়া চিংড়ি।
অতিরিক্ত লবণ প্রক্রিয়া জাত খাবার অতিরিক্ত লবণ যুক্ত খাবার উচ্চ রক্তচাপের
ঝুঁকি বাড়ায় এবং এটি ফ্রি এক্লাপ্সিয়া গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ তৈরি করতে পারে।
এড়িয়ে চলুন প্রসেড খাবার ফাস্ট ফুড ইনস্ট্যান্ট নুড লস। অতিরিক্ত লোনা খাবার
আচার চিপস প্যাকেট জাত সুপ।
আরো পড়ুনঃ
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টি খাবার অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের
ঝুঁকি বাড়তে পারে যা শিশুর জন্ম জনিত জটিলতার কারণ হতে পারে। এড়িয়ে
চলুন।
- সফট ড্রিংস।
- বেশি মিষ্টি খাবার মিষ্টি কে কুকিজ।
- চিনি সমৃদ্ধ সিরিয়াল।
নিরাপদ বিকল্প।
- প্রাকৃতিক চিনি যুক্ত ফল।
- কম চিনি যুক্ত দই।
অতিরিক্ত ঝাল ও মসলা যুক্ত খাবার। অতিরিক্ত ঝাল ও মসলা যুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিক
বা এসিডিটি বাড়াতে পারে যা গর্ভবতী নারীদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। এড়িয়ে
চলুন
- অতিরিক্ত মরিচ ও লবণযুক্ত খাবার ।
- অতিরিক্ত ভাজা ও তেল যুক্ত খাবার।
নিরাপদ বিকল্প
- হালকা মসলা ও সুপরিবর্তিত খাবার।
অ্যালকোহল গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল গ্রহন করলে এটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের
জন্য ক্ষতি করতে পারে এবং ফিটাল অ্যালকোহল সিনড্রোম সৃষ্টি করতে পারে। এরিয়ে
চলুন
- অ্যালকোহল যুক্ত পানি।
নিরাপদ বিকল্প
- ফলের রস হালকা লেবু পানি।
আধা কাঁচা সবজি ও ফল যদি ভালোভাবে ধোয়া না হয় তাহলে কাঁচা সবজি ও ফলে বিভিন্ন
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। এড়িয়ে চলুন
- ভালোভাবে না ধোয়া কাঁচা ফল ও সবজি।
- স্প্রাউট জাতীয় কাঁচা খাবার।
গর্ভাবস্থায় সঠিক খাদ্যাভ্যাসে মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি উল্লেখিত ক্ষতিকর খাবার গুলো এড়িয়ে চললে
গর্ভাবস্থার বিভিন্ন জটিলতা কমানো সম্ভব। তাই কোন খাবার গ্রহণের আগে এর সঠিক
স্বাস্থ্যকর দিকগুলো নিশ্চিত হওয়া জরুরী।
বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার সমূহ
শিশুর সুস্থ শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব ও অপরিসীমা। একটি
শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সরাসরি
তাদের খাদ্য ভ্যাসের উপর নির্ভর করে। পুষ্টিকর খাবারের অভাবে শিশুদের মধ্যে
অপুষ্টি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধা
সৃষ্টি করতে পারে। তাই অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে এবং শিশুর জন্য সঠিক পুষ্টিকর
খাদ্য নির্বাচন করতে হবে।
বাচ্চাদের জন্য পুষ্টির মূল উপাদান
প্রোটিন শিশুর পেশী গঠন টিস্যু মেরামত ও নিশ্চিত করতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে মাছ ডিম মাংস দুধ ডাল ছোলা ইত্যাদি প্রোটিনের ভালো উৎসব।
শর্করা শিশুদের দৈনিক শক্তির প্রধান উৎস হল শর্করা। ভাত রুটি আলু পটল ওটস ব্রেড
ইত্যাদি তে অর্জিত শর্করা পাওয়া যায়।
ফ্যাট চর্বি স্বাস্থ্যকর চর্বি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের সহায়ক বাদাম ঘি অলিভ
অয়েল অ্যাভোকাডো ইত্যাদিতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পাওয়া যায়।
ভিটামিন ও খনিজ ভিটামিন এ বি সি ডি ই এবং ক্যালসিয়াম আয়রন দস্তা পটাশিয়াম
শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও শারীরিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
দুধ ডিম শাক-সবজি ফল বাদাম মাছ ডাল থেকে এই পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং সঠিক পরিমাণে পুষ্টি শোষণের জন্য পানি
অপরিহার্য।
বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত পুষ্টিকর খাবারের তালিকা।
গরুর দুধ দই পানির ছানা। ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের ভালো উৎস যা আর মজবুত
করে।
ফল সবজি। আপেল কলা পেঁপে আর কমলা গাজর পালং শাক ব্রোকোলি। ভিটামিন মিনারেল ও
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডিম মাছ মাংস ডাল সয়াবিন বেশি গঠনে সাহায্য করে ও শক্তির
মাত্রা বজায় রাখে।
আরো পড়ুনঃ
তোকমা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
শর্করা ও আঁশ যুক্ত খাবার ভাত রুটি ওটমিল ব্রাউন রাইস সাক সবজি পরিপাক ক্রিয়াকে
সহায়তা করে এবং শক্তি প্রদান করে।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার বাদাম অলিভ অয়েল ঘি মাছের তেল মস্তিষ্কের
বিকাশের সহায়ক।
বাচ্চাদের খাদ্যাভ্যাস গঠনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।
নিয়মিত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন তিন বেলা প্রধান খাবার ও দুই বেলা হালকা
নাস্তা নিশ্চিত করুন। বাচ্চাদের পছন্দ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করুন
আকর্ষণীয়ভাবে খাবার পরিবেশন করলে শিশুদের খেতে আগ্রহ বাড়বে। ফাস্টফুড
প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন এসব খাবারে উচ্চমাত্রার চিনি লবণ ও ট্রাস্ট
থাকে যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
পর্যাপ্ত পানি পান করা শিশুরা অনেক সময় পানি কম খায় তাই পর্যাপ্ত পানি পান
করানো নিশ্চিত করতে হবে। শিশুরা যেন পরিবারের সঙ্গে খাবার খায় এটি শিশুদের
মধ্যে ভালো খাদ্যভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার কি কি শিশুর স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ গঠনের
জন্য পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হলে খাবারের
বৈচিত্র বজায় রাখা জরুরি। বাচ্চাদের সুস্থ বিকাশ নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের উচিত
সঠিক খাদ্য গড়ে তোলা এবং তাদের পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী খাবার নির্বাচন করা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url