বিদেশ যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে ঢোকার নিয়ম ও করণীয়
বিদেশ যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে ঢোকার নিয়ম ও করণীয় বিদেশ ভ্রমণের আগে সঠিকভাবে ব্যাগ গোছানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু যাত্রাকে আরামদায়ক করে না বরং অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা থেকেও রক্ষা করে।
প্রথমে একটি তালিকা তৈরি করা উচিত যাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাদ না পড়ে। ভ্রমণের সময়কাল ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে কাপড় নির্বাচন করতে হবে। হালকা ও আরামদায়ক পোশাক একটি জ্যাকেট এবং প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক পোশাক রাখা উচিত।পেজসূচিপত্র: বিদেশ যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে ঢোকার নিয়ম ও করণীয় .
ভ্রমণের নথিপত্র যেমন পাসপোর্ট ভিসা টিকিট এবং জরুরী কাগজপত্র হাতের কাছে রাখা জরুরী এগুলোর সব কপি মোবাইল বা ক্লাউড স্টোরেজেও রাখা ভালো প্রয়োজনীয় ওষুধ ফাস্ট এইট কিড এবং ব্যক্তিগত যত্নের সামগ্রী যেমন টুথ ব্রাশ শ্যাম্পু লোশন সঙ্গে রাখতে হবে এবং এগুলি বুকিং ব্যাগে রাখতে হবে।
বিদেশ যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে ঢোকার নিয়ম ও করণীয় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী যেমন মোবাইল চার্জার পাওয়ার ব্যাংক অ্যাডাপ্টার এবং ইয়ারফোন নেওয়ার প্রয়োজন। ইলেকট্রিক সামগ্রী গুলো হ্যান্ড ব্যাগে রাখতে হবে। টাকা-পয়সা আন্তর্জাতিক ডেবিট ক্রেডিট কার্ড ও কিছু নগদ অর্থ সঙ্গে রাখা উচিত।
আরো পড়ুন:
সৌদি এয়ারলাইন্স ঢাকা টু জেদ্দা দাম্মাম রিয়াদ
সবশেষে ব্যাগ যেন খুব ভারী না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী । টিকিটের নিয়ম অনুযায়ী টিকিটে যত কেজি লেখা থাকবে সেই অনুযায়ী ব্যাগের ওজন যেন হয়। অপ্রয়োজনীয় জিনিস না নেওয়া ভালো হ্যান্ড ব্যাগে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র রাখতে হবে। যেন প্রয়োজনে সহজেই পাওয়া যায় পরিকল্পিতভাবে ব্যাগ গোছালে বিদেশ ভ্রমণ অনেক সহজ ও আরামদায়ক হবে।
এয়ারপোর্টে ঢোকার সময়
এয়ারপোর্টে ঢোকার সময় বেশ কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় যা একজন যাত্রী নিরাপত্তা ও সুবিধার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমেই যাত্রীদের প্রধান প্রবেশ পথে আসতে হয় যেখানে সিকিউরিটি চেকিং শুরু হয়। সাধারণত যাত্রীদের বিমানবন্দরের প্রবেশের আগে তাদের পরিচয় পত্র এবং টিকিট দেখাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে ই টিকিট বা মোবাইল বোর্ডিং পাসও গ্রহণযোগ্য হয়।
বিদেশ যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে ঢোকার নিয়ম ও করণীয় এয়ারপোর্টের প্রবেশপথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠোর থাকে। সিকিউরিটি চেক পয়েন্ট পৌঁছানোর আগে যাত্রীদের হাতের লাগেজ স্ক্যানিং মেশিনে রাখতে হয় এবং মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করা হয়। যেকোনো ধাতব বস্তু যেমন চাবির রিং বেল্ট ঘড়ি বা মোবাইল ফোন স্ক্যানার মেশিনে রাখতে হয় যাতে নিরাপত্তা কর্মীরা নির্ভুলভাবে যাত্রীদের দেহ ও মালামাল পরীক্ষা করতে পারেন। এরপর যাত্রীরা তাদের বড় ব্যাগ বুকিং দিবে এবং বোর্ডিংপাস নিবে।
এরপর যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কাউন্টারের দিকে যেতে হয় যদি তারা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ভ্রমণ করেন। ইমিগ্রেশন অফিসারদের কাছে পাসপোর্ট ও ভিসা দেখাতে হয় এবং তারা প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করেন। অনেক সময় তারা কিছু সাধারণ প্রশ্ন করতে পারেন যেমন যাত্রার উদ্দেশ্য গন্তব্যস্থল এবং দেশে ফেরার সম্ভাব্য তারিখ যদি সবকিছু ঠিক ঠাক থাকে তবে যাত্রীদের অনুমতি দেওয়া হয়।। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতরে প্রবেশ করা।
বিদেশ যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে ঢোকার নিয়ম ও করণীয় একবার নিরাপত্তা চেক সম্পূর্ণ হলে যাত্রীরা তাদের নির্দিষ্ট টার্মিনালের দিকে অগ্রসর হবে। এখানে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় যেমন রেস্টুরেন্ট শপিংবিশ্রামের জায়গা এবং নামাজের স্থান। অনেকে এখান থেকে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেন বিশেষত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এর জন্য করমুক্ত পণ্য সংগ্রহ করার সুযোগ থাকে।
আরো পড়ুন:
কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন এবং যাওয়ার খরচ
বিমানবন্দরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো বোর্ডিং গেটের দিকে যাওয়া। নির্দিষ্ট সময়ের আগে যাত্রীদের সেখানে উপস্থিত থাকতে হয়। যাতে তারা যথাসময়ে ফ্লাইটে উঠতে পারেন। বোর্ডিংয়ে গেটে পৌঁছানোর পর আবারো টিকিট ও পরিচয় পত্র যাচাই করা হয়। এবং যাত্রীদের বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়।
বিদেশ যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে ঢোকার নিয়ম ও করণীয় এভাবে একটি যাত্রার শুরু হয় যেখানে এয়ারপোর্টের নিরাপত্তা এবং প্রক্রিয়াগুলো যাত্রীদের সুরক্ষা ও সুস্থ যাত্রা নিশ্চিত করে। তাই যাত্রীদের সব নিয়ম কানুন মেনে চলা জরুরী। যাতে যাত্রা নির্বীঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়।
বিমানে ওঠার আগে ও পরে করণীয়
বিদেশ যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে ঢোকার নিয়ম ও করণীয় বিমানে যাত্রা করার একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হলেও এবং নিরাপদ ভ্রমণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা দরকার। বিমানে ওঠার আগে করণীয়
- টিকিট ও ভ্রমণ নথিপত্র নিশ্চিত করুন যে আপনার পাসপোর্ট ভিসা বোর্ডিং পাস এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত আছে।
- ব্যাগ ওজনসীমা এয়ারলাইনসের নির্ধারিত ওজন সীমা মেনে ব্যাগ গুছিয়ে নিন। অতিরিক্ত ওজন হলে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিন
- নিরাপত্তা চেক বিমানবন্দরে প্রবেশের পর নিরাপত্তা চেকিং এর জন্য প্রস্তুত থাকুন। ধাতব বস্তু ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস আলাদা করে রাখুন।
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও আরামদায়ক পোশাক দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পরিধান করুন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা যদি প্রয়োজন হয় সম্পন্ন করুন।
- ফ্লাইট সংক্রান্ত আপডেট বিদেশ যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে ঢোকার নিয়ম ও করণীয় বোর্ডিং টাইম ও গেট নম্বর সম্পর্কিত সম্পর্কের নিয়মিত আপডেট নিন।
বিমানে ওঠার পরে করনীয়।
- সঠিক আসনে বসা বোর্ডিং পাস অনুযায়ী নির্ধারিত আসনে বসুন এবং সিট বেল্ট বাধন।
- নিরাপত্তা নির্দেশনা কেবিন ক্রুদের দেওয়া সেফটি নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং তা অনুসরণ করুন।
- ইলেকট্রনিক ডিওয়াইস ব্যবহার নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছানোর আগে মোবাইল ও অন্যান্য ডিভাইস এয়ার প্লেন মডে রাখুন।
- খাবার ও পানি গ্রহণ প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার ও পানি পান করুন এবং এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুসরণ করুন।
- ল্যান্ডিংয়ের প্রস্তুতি অবতরণের আগে সিট বেল্ট বেঁধে নিন ট্রি টেবিল গুটিয়ে ফেলুন এবং জানালার শাটার খুলে দিন।
বিদেশ যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে ঢোকার নিয়ম ও করণীয় এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে ভ্রমণ হবে নিরাপদ আরামদায়ক এবং ঝামেলা মুক্ত।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url